“ক্ষুধার্ত ইতিহাস”
আমি একটি ঘুমহীন রাত চাই বহুরাত ধরেই
নির্লজ্জ ঘুমিয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছি বহুরাত ধরেই
ঘুমের ভেতরে স্বপ্ন দেখে দেখে বোর হয়ে গেছি
আমি এক স্বপ্নহীন ঘুম চাই
ঘুমহীন একটি রাত যদি পাই
পেলে আমি একটি কবিতা লিখতে চাই
এক জীবনে একটি কবিতাও লিখতে না পেরে
স্বজন হারানোর বেদনা অনুভব করি
কবিতায় আমি সেই কথাটিই লিখবো যা কেউ
লিখতে পারে নি কোনোদিন
সেই কথা যা লিখা খুব প্রয়োজন যেমন প্রয়োজন
ভীষণ একটি পরকিয়া প্রেম
যেমন প্রয়োজন কবিতায় লিখতে পারা সেই কথা যে-কথা লিখতে হলে হৃদয়ের গোপন কুঠুরি
সাজাতে হয় ক্ষত পুঁজ নালি ঘা’র গুপ্ত আঘাতে
আসলে এসব কিছুর জন্যই তো প্রয়োজন
একটি অনন্ত নির্ঘুম রাত
যে-রাতে আমি একটি কবিতা লিখে
কবিতার বরপুত্র বনে যেতে পারি
আমি কবিতার বরপুত্র হলে একটি নির্ঘুম রাত
অমরত্বের খাতায় নাম লিখে নিতে পারে
আর সেই অমরত্ব দেখে দেখে মানুষেরা
কবিকেও মানুষ ভাবতে পারে
যদিও অধিকাংশ কবিই মুলত মানুষ রকমের কিছু নয়
একটি নির্ঘুম রাত তাই কবিকেও মানুষ বানাতে পারে
মিথ্যে নয় আমি একটি নির্ঘুম রাত সত্যি সত্যি চাই
যে-রাতে যারা শান্তিপ্রিয় মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলো
তাহাদের ঘুমসমগ্র আমি কেড়ে নিতে চাই
একটি নির্ঘুম রাত আমার কাছে বীর্যপাতের মতো
কী ভীষণ শব্দসন্ত্রাসময়
কী ভীষণ যৌনতা ও যোনিগন্ধময়
একটি নির্ঘুম রাত মানেই
একটি ক্ষুধার্ত পেনিসের জাগ্রত জন্মের যৌথ ইতিহাস
লেখক পরিচিতি-
লেখক পরিচিতি : যুবক অনার্য। জন্ম: ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭৮, র্যাংকিন স্ট্রিট ওয়ারী,ঢাকা,বাংলাদেশ। লেখাপড়া- ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। পেশা: শিক্ষকতা। প্রকাশিত গ্রন্থ – চার্বাক লেনে দ্বিভাষিক পায়ের ছাপ (কাব্য,বইমেলা ২০০৭); স্তব্ধতার বৈরী কররেখা (কাব্য,বইমেলা ২০১২);