৬২ জন মনীষীর জীবন ও কর্মের উপর ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ অনুষ্ঠান উদ্বোধন
মো. মনজুরুল ইসলাম (মনজু) : যাদের নিয়ে আঁকি, যাদের জন্য আঁকি সেই কামার, কুমার, কৃষক, জেলে ও অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষ সেই ছবি দেখতে পায় না। বড়লোকের ড্রইংরুম সাজানোর জন্য ছবি আঁকা আমার উদ্দেশ্য নয়। – বিশ্ব বরেণ্য শিল্পী এস এম সুলতান।
মনীষীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের নিমিত্তে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্পী ও গুণীজনদের নিয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হলো আজ ২৪ মে বিশ্ব বরেণ্য শিল্পী এস এম সুলতান ও কাইযুম চৌধুরীকে স্মরণের মধ্য দিয়ে।
উদ্বোধনী দিনের আয়োজন শুরু হয় সকাল ১০ টায়। বিশ্ব বরেণ্য শিল্পী এস এম সুলতান এবং কাইয়ুম চেীধুরী স্মরণ অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন জাফর ওয়াজেদ, মহাপরিচালক, পিআইবি। “সাংস্কৃতিক বিপ্লব ও বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ গঠনে এস এম সুলতানের জীবন ও নন্দনতত্বের প্রাসঙ্গিকতা” শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী।
সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। বক্তব্যে তিনি বলেন, “শিল্পী এস এম সুলতান যে নৌকাটি ব্যবহার করেছেন, চিত্রা নদীর সেই ঘাটে হুবহু সেই নৌকার মতো দেখতে নৌকা আমরা বানাতে চাই যাতে শিশু তাতে করে আনন্দ করতে পারে। এছাড়া শিশু স্বর্গকে তাঁর সেই সমেয় ফিরিয়ে নিতে এরই মধ্য অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছ “।
তিনি আরো বলেন- “বর্তমান সোস্যাল মিডিয়ার যুগে অনেক ভালো কাজ নিয়ে্ও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়, সেক্ষেত্রে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। সুনাগরিক হিসেবে ভালো কাজে এগিয়ে যেতে হবে।”
২য় পর্বে বরেণ্য শিল্পী কাইযুম চৌধুরী স্মরণে “কাইয়ুম চেীধুরী নান্দনিক শিল্পের রুপকার” শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক মামুন কায়সার। আলোচক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক মইনুল হোসেন জাবের। এ পর্বে সভাপতিত্ব করেন নন্দনতত্ববিদ বুলবন ওসমান।
বিকেলের আয়োজন শুরু হয় বিকাল ৫ টায়। উপমহাদেশের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ওস্তাদ আয়েত আলী খান-এর উপর প্রবন্ধ পাঠ করেন রীনাত ফওজিয়া, অধ্যাপক, সেতার শিল্পী ও সংগীত গবেষক। প্রবন্ধের শিরোনাম: “ওস্তাদ আয়েত আলী খান: জীবন ও কর্ম” । আলোচক হিসেবে ছিলেন শেখ সাদী খান বিশিষ্ট সুরকার ও সংগীত পরিচালক। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। ২য় পর্বে ওস্তাদ আলী আকবর খান-এর উপর প্রবন্ধ পাঠ করেন লেখক, গবেষক, সাংবাদিক ও নাট্য নির্মাতা ইরানী বিশ্বাস । প্রবন্ধের শিরোনাম: “মুকুটবিহীন সুরসম্রাট ওস্তাদ আলী আকবর খান” আলোচক হিসেবে ছিলেন এজাজ ফারাহ্, সঙ্গীত পরিচালক।
আলোচকরা বলেন, “সুর ও সঙ্গীতের জগতে তারা যে অনন্য মাত্রায় পৌছেছেন, তাতে করেই এই বাংলা ভাষাভাষি অঞ্চল তথা উপমহাদেশের সঙ্গীত অঙ্গণে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন”
দেশের বরেণ্য গুণীজনদের উপর এ আলোচনা অনুষ্ঠান চলবে ১২ জুন ২০২৪ পর্যন্ত। এ বছর দেশের ৬২ জন মনীষীদের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২৪ মে ২০২৪ থেকে ১২ জুন ২০২৪ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।