কভারেজ নিউজমফস্বল সংবাদহিন্দু ধর্ম

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ; নাগরপুরে একই আঙ্গিনায় মসজিদ-মন্দির এক সঙ্গে চলছে পুজা ও নামাজ

[টাঙ্গাইল] ১০ অক্টোবর, ২০২৪ [বুলেটিন নিউজ ২৪.কম] : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ টাঙ্গাইলের নাগরপুর। এখানে একই আঙ্গিনায় মসজিদ ও মন্দির। দীর্ঘ দিন ধরে এক সাথে মসজিদে চলছে আজান, আর মন্দিরে চলছে পূজা অর্চনা। এ যেন সকল ধর্মের সম্প্রীতির এক মেল বন্ধন। উপজেলা সদরের চৌধুরী বাড়ি (জমিদার বাড়ি) একই আঙিনায় ৫৪ বছর ধরে সেখানকার মসজিদে চলছে আজান, আর মন্দিরে চলছে পূজা অর্চনা। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি তার। মসজিদের পাশে মন্দিরে হচ্ছে সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পুজা। আজান ও নামাজের সময় বন্ধ থাকছে পূজার কার্যক্রম। উভয় ধর্মের লোকজন বলছে তারা সব সময় সম্প্রীতির সঙ্গেই নিজ-নিজ ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

আজ ১০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত হওয়ায় মসজিদ ও মন্দির পরিদর্শন করেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু (বিপিএম)। পরে তিনি, চৌধুরি বাড়ি ক্লাব আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ক্রাইম এন্ড অবস্ পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত) শরফুদ্দিন, সহকারি পুলিশ সুপার খান মাহমুদুল হাসান, এএসপি (মির্জাপুর সার্কেল) এইচএম মাহবুব রেজুওয়ান সিদ্দিক, নাগরপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. রফিকুল ইসলাম।

জানা যায়, নাগরপুর সদরের চৌধুরী বাড়িতে ৯০ বছর আগে বাংলা ১৩৩৯ ইংরেজি ১৯৩২ সালের দিকে প্রতিষ্ঠা করা হয় উঝা ঠাকুর কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির। এই মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছরই ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হয়ে আসছে দুর্গাপূজা। মন্দির প্রতিষ্ঠার প্রায় ৪০ বছর পর ১৯৭২ সালে একই আঙিনায় নির্মাণ করা হয় নাগরপুর চৌধুরী বাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। একই স্থানে মসজিদ আর মন্দির নিয়ে কখনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সবাই মিলেমিশে নিজেদের ধর্ম পালন করছেন।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু (বিপিএম) বলেন, সারা বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতির উজ্জল দৃষ্টান্ত টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার চৌধুরি বাড়ির মসজিদ মন্দির। একই জায়গায় মসজিদ মন্দির ও ঈদগাঁ মাঠ। এখানকার হিন্দু মসলিমের এই মেল বন্ধন দেখে আমি অবিভূত।

এসময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ সালাম, সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিজ উদ্দিন, জামাতের আমির মাও. রফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আ. সালাম, পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিব শংকর সূত্রধর, সাধারন সম্পাদক প্রভাষ চক্রবর্তী ও উপজেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃন্দসহ পুজারিরা উপস্থিত ছিলেন।

image_print
Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments