আন্তর্জাতিক সংবাদ

লড়াই করতে চাইলে আমরা শেষ পর্যন্ত থাকব: চীনা মুখপাত্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শুল্ক ইস্যুতে আলোচনা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হ্য ইয়ং ছিয়ান গত বৃহস্পতিবার বলেন, চীনের অবস্থান স্পষ্ট ও স্থির- “আলোচনা করতে চাইলে আমাদের দরজা খোলা, তবে এটা পারস্পরিক সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে হতে হবে। লড়াই করতে চাইলে আমরা শেষ পর্যন্ত থাকব। চাপ, হুমকি ও জবরদস্তি চীনের সাথে কাজ করার সঠিক পদ্ধতি নয়।”

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে হ্য ইয়ং ছিয়ান বলেন, “আমরা আশা করি মার্কিন পক্ষ চীনের দিকে এগিয়ে আসবে এবং পারস্পরিক সম্মান, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও জয়-জয় সহযোগিতার নীতিতে আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য সমাধান করবে। আমরা সমস্যা সৃষ্টি করি না, কিন্তু সমস্যাকে ভয়ও পাই না। চীনা জনগণ ও বিশ্ববাসীর ন্যায্য উন্নয়নের অধিকার খর্ব করা যাবে না, চীন ও অন্যান্য দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন স্বার্থ লঙ্ঘন করা যাবে না।”

তিনি স্পষ্ট বলেন, “বাণিজ্য-যুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না, সংরক্ষণবাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। মার্কিন পক্ষ যদি একগুঁয়েমি করে, চীন শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। আমরা মার্কিন পক্ষের চরম চাপ ও উত্পীড়ন মেনে নেব না, আমাদের ন্যায্য স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় ও কার্যকর ব্যবস্থা নেব। আমরা লক্ষ্য করেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয়ই মার্কিন ‘সমতুল্য শুল্ক’ নীতির ব্যাপক বিরোধিতা করেছে। আমরা মার্কিন পক্ষকে দ্রুত একতরফা শুল্ক প্রত্যাহার করে সমতার ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য সমাধানের সঠিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানাই।”
হ্য ইয়ং ছিয়ান আরও বলেন, “সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নানা অজুহাতে চীনসহ সকল বাণিজ্য অংশীদারের উপর অবৈধ শুল্ক আরোপ করেছে, যা আন্তর্জাতিক নিয়ম ও ন্যায়বিচারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

চীন সরকার বিশ্বের সংশ্লিষ্ট অর্থনীতিগুলোর সাথে একাত্ম হয়ে এর তীব্র নিন্দা জানায় ও এমন কর্মকাণ্ড প্রত্যাখ্যান করেছে। মার্কিন পক্ষের চাপ ও হুমকি কোনো সমস্যার সমাধান করবে না, তাদের ন্যায্য আলোচনার পথে ফিরে আসা উচিত। চীন ইতিমধ্যে এবং ভবিষ্যতেও আমাদের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “মার্কিন পক্ষের অবৈধ শুল্ক আমাদের ন্যায্য স্বার্থকে ক্ষুন্ন করেছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং আমাদের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

আমরা অবিচলভাবে আমাদের কাজ এগিয়ে নেব, চীনের ‘নির্দিষ্টতা’ দিয়ে বাহ্যিক পরিবেশের ‘অনিশ্চয়তা’কে মোকাবিলা করব। আমরা রপ্তানি বাধাগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থানীয় বাজার বিকাশে সহায়তা করব, ভোক্তা পণ্য বিনিময় নীতি কার্যকর করব, ‘বৈদেশিক বাণিজ্য উৎকৃষ্ট পণ্য চীন সফর’সহ বিভিন্ন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করব এবং অভ্যন্তরীণ-বৈদেশিক বাণিজ্য একীকরণের কাজ গভীরভাবে এগিয়ে নেব।”
হ্য ইয়ং ছিয়ান বলেন, “দেখাই যাচ্ছে, চীনের সুবিশাল বাজারের সম্ভাবনা ক্রমাগত মুক্ত হচ্ছে, অর্থনীতি ও বাণিজ্য স্থিতিশীল করার নীতি অব্যাহতভাবে কার্যকর হচ্ছে। চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য সকল ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আত্মবিশ্বাসী ও সক্ষম।”।
সূত্র : স্বর্ণা- হাশিম-লিলি,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

image_print
Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments