গুমানী নদীর জল তরঙ্গ
কে দেখবি আয়……
একের পর আরেক এসে
আবার চলে যায়।
গাঁয়ের বধূ কলসি কাঁখে
নদীর ঘাটে আসে,
উদাস মাঝির খেয়ার তরী
সেই ঘাটেতেই ভাসে।
আলতা রাঙা বধূর পায়ে
নূপুর খানি বাজে,
পার হয়ে যায় অনেক মানুষ
সকাল-দুপুর – সাঁঝে।
জাল ফেলে জালুয়া ভাই
গুমানী নদীর বাঁকে….
মিষ্টি বধূর দুষ্টু হাসি
যায় ফেলে যায় ফাঁকে।
পান খেয়ে ঠোট লাল করেছে
পরনে লাল শাড়ী…..
ভরা কলসি কাঁখে নিয়ে
যায় ফিরে যায় বাড়ি।
ঘুমের ঘরে সপ্ন আঁকে
রাঙা ঠোটি বউ….
কত জোয়ার আইলো গেল
বক্ষে প্রেমের ঢেউ।
প্রাণের সখা বিদেশ বাড়ি
আসবে কবে দেশে,
দিন ভরতো এদিক সেদিক
রাত্রি পোহায় কিসে????
লেখক পরিচিতি-
কবি হারেজ উদ্দিন হিরো, পাবনা জেলার ভাংগুরা উপজেলা অধীনের পরমানন্দ পুর গ্রামে ১৯ শে ডিসেম্বর ১৯৯২ ইং সালে জন্ম গ্রহণ করেন।
পিতাঃ মৃত আকবর আলী খান
মাতাঃ মৃত হালিমা খাতুন।
তিনি চার ভাই বোনের মধ্যে ছোট।
তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিজ্ঞান বিষয়ে বি.এস.সি (অনার্স),এম.এস.সি (মাস্টার্স-থিসিস)ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি দেশের বিভিন্ন সাহিত্য পাতায় লেখা-লেখি করেন।
এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ১৫ টি (যৌথ),গল্পের বই একটি (যৌথ) এবং একটি উপন্যাস “ভালোবাসার অন্তরায়”।
প্রতিভার স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন
“অপরাজিত সাহিত্য সম্মাননা-১৩”
“প্রজন্ম সাহিত্য সম্মাননা-১৫”
“আমার সাহিত্য সম্মাননা-১৭”
“শখের কবিতা ও সাহিত্য আড্ডা সম্মাননা-১৭”
“প্রিয় কবিতা সাহিত্য গ্রুপ সম্মাননা-১৭”
কবি বর্তমান
“আসিয়া বারি আদর্শ বিদ্যালয়” মঠখোলা,পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ,
সহকারী শিক্ষক (বায়োলজি) হিসাবে কর্মরত আছেন।