বিনোদন

রাগপ্রধান বাংলা গানের আসরে মন্ত্রমুগ্ধ স্রোতারা

মো. মনজুরুল ইসলাম (মনজু) : প্রাচীন কাল থেকে বাংলা গানে যেসব রাগ ব্যবহার হয়েছে তার মধ্যে রাগ ভৈরব, ভুপালি, ভীম পলশ্রী, মালগুঞ্জিসহ নট, কিরওয়ানী নানা ধারার ভিন্ন মাত্রার রাগ পরিবেশিত হয় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে।

আজ ৩০ মে সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে শুরু হয় ১৬ তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসবের আয়োজন রাগপ্রধান বাংলা গানের আসর।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই আলোচনা পর্বে অংশ নেন অতিথিবৃন্দ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন শেখ জসিম, কন্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুয়াদ নাসের বাবু, বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

বাংলাদেশে শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের চর্চা ও প্রসার এবং নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের সংগীতের সমৃদ্ধ এ ধারায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে চলছে ৬ দিনব্যাপী এ ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব। সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২৬-৩১ মে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সমাপনী হবে আগামিকাল।

শাস্ত্রীয় পরিবেশনার শুরুতেই সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সুজিত মোস্তফা ‘সজনী গো ভালোবেসে এতো জ্বালা’, রাগ: কাফি, গানের কথা: মাসুদ করিম, সুর করেছেন সুবল দাশ, মূল শিল্পী: বশির আহাম্মেদ এবং ‘তোমার কাজল কেশ’ রাগ: জয়জয়ন্ত্রী, কথা: ড: আবু হেনা মুস্তাফা কামাল, সুর করেছেন আব্দুল আহাদ, মূল শিল্পী বশির আহমেদ। এরপর ‘পারিনা ভুলে যেতে স্মৃতিরা মালা গেঁথে’ পরিবেশন করেন শিল্পী স্বরলিপি। রাগ: কিরওয়ানী, কথা লিখেছেন গাজী মাজহারুল ইসলাম, সুর করেছেন আলাউদ্দিন আলী, মূল শিল্পী: শাহনাজ রহমতুল্লাহ। তিনি আরো একটি সঙ্গীত পরিবেশন করেন ‘মেঘ এসে ছুঁয়ে ছুয়ে যায়’, রাগ: মালহার, কথা ও সুর করেছেন আসাফউদ্দৌলা, মূল শিল্পী: গুলাম আলী। ইউসুফ খান পরিবেশন করেন ‘আমার এ দুটি চোখ’, রাগ: নট-ভৈরব, কথা লিখেছেন কবি জাহিদুল হক, সুর করেছেন শেখ সাদী খান, মূল শিল্পী : নিয়াজ মোহাম্মদ এবং ইমন রাগে ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’, পরিবেশন করেন তিনি। গানের কথা: কাউসার আহাম্মেদ চৌধুরী, সুর করেছেন লাকী আকন্দ, মূল শিল্পী: নিয়াজ মোহাম্মদ।

ধারাবাহিক আয়োজনে শিলা দেবী পরিবেশন করেন ‘এই দুনিয়া এখনতো আর সেই দুনিয়া নাই’ রাগ: মালগুঞ্জি, কথা লিখেছেন নুরুজ্জামান শেখ, সুর করেছেন আলাউদ্দিন আলী, মূল শিল্পী : মিতালী মুখার্জি। তিনি আরো পরিবেশন করেন ‘এতো সুখ সইবো কেমন করে’, রাগ: ভীম পলশ্রী, কথা: রফিকুজ্জামান, সুর করেছেন খন্দকার নুরুল আলম, মূল শিল্পী: নীলুফার ইয়াসমিন।

ভৈরবী রাগে শুভ দাস পরিবেশন করেন ‘আমাকে পোড়াতে যদি’, সুর করেছেন খান আতাউর রহমান, মূল শিল্পী: বশির আহাম্মেদ। তিনি আরো পরিবেশন করেন ‘বৈশাখী মেঘের কাছে’, রাগ: ভৈরবী, কথা: আব্দুল হায়াত মোহাম্মদ কামাল, সুর করেছেন অনুপ ভট্টাচার্য।

এরপর সংগীত পরিবেশন করেন নওশিন টুশি ‘যে ছিলো দৃষ্টির সীমানায়’, রাগ: ভুপালী, কথা: মনিরুজ্জামান, সুর: আলাউদ্দিন আলী, মূল শিল্পী: শাহনাজ রহমতুল্লাহ এবং ‘হারানো দিনের মতো হারিয়ে গেছো তুমি’, রাগ ইমন কল্যান, সুর ও কথা করেছেন আলাউদ্দিন আলী, মূল শিল্পী: মিতালী মুখার্জি। সবশেষে সংগীত পরিবেশন করেন শেখ জসিম ‘হারানো দিনের কথা মনে পড়ে যায়’, রাগ: তীলক-কামোদ, কথা: আসরাফউজ্জামান খান, সুর: মোহন লাল দাশ, মূল শিল্পী: মেহেদী হাসান এবং ‘ভুলেছো আমায়’, রাগ: কিরওয়ানী, কথা: রুবাইয়াত জাহান, সুর: শেখ জসিম।

আগামীকাল সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সমাপনী দিনের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে।

image_print
Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments