আন্তর্জাতিক সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ শুল্কারোপ বিভিন্ন দেশের বৈধ অধিকার লঙ্ঘন করেছে : লিং জি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ৭ এপ্রিল রোববার মার্কিন বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে একটি গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক আলোচক লিং জি বলেন, “আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, চীন সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতিতে অবিচল থাকবে। বহুপাক্ষিকতাই বিশ্বের সামনে বিদ্যমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সমাধানের একমাত্র পথ। চীনের উন্মুক্তকরণের দরজা আগের চেয়ে আরও বেশি প্রশস্ত হবে, বিদেশী বিনিয়োগ আহরণের নীতি অপরিবর্তিত থাকবে।” আজ সোমবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে এ সব কথা জানা গেছে।

লিং জি আরও যোগ করেন, “বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চীনে অবস্থিত মার্কিনসহ সকল বিদেশী বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে সুরক্ষা প্রদান অব্যাহত রাখবে, আইনানুগভাবে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈধ অধিকার রক্ষা করবে এবং তাদের সমস্যা সমাধান ও দাবিগুলো পূরণে সক্রিয়ভাবে কাজ করবে। চীন অতীতেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য আদর্শ, নিরাপদ ও সম্ভাবনাময় একটি বিনিয়োগ ক্ষেত্র হিসেবে থাকবে।”

লিং জি বলেন, “গত কয়েকদিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নানা অজুহাতে চীনসহ সকল বাণিজ্যিক অংশীদারের উপর অবৈধ শুল্ক আরোপ করেছে, যা নিয়ম-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং বিভিন্ন দেশের বৈধ অধিকার লঙ্ঘন করেছে। চীন সরকার এর তীব্র নিন্দা এবং দৃঢ় প্রতিবাদ জানাচ্ছে, পাশাপাশি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “চীনের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থাগুলো গৃহীত হয়েছে মার্কিন বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানসহ সকল প্রতিষ্ঠানের বৈধ অধিকার রক্ষার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকে বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য। শুল্ক সমস্যার মূল কারণ যুক্তরাষ্ট্রে নিহিত। আমরা আশা করি মার্কিন বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো মূল কারণ খুঁজে বের করবে, কারণ-প্রভাব পরিষ্কার করবে, যুক্তিসঙ্গত কণ্ঠস্বর তুলে ধরবে এবং বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেবে, যাতে বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায় এবং সহযোগিতা ও সমৃদ্ধি অর্জন করা যায়।”

টেসলা, জিই হেলথকেয়ার, মেডট্রনিক্সসহ ২০টিরও বেশি মার্কিন বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এই বৈঠকে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা জানান, এই বৈঠক থেকে ইতিবাচক সংকেত পাওয়া গেছে, যা তারা শিগগিরই তাদের সদর দপ্তরে জানাবেন। বৈঠকে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা তাদের বর্তমান বিনিয়োগ ও ব্যবসা পরিচালনায় সম্মুখীন সমস্যাগুলো তুলে ধরেন, যার প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তখনই যথাযথ জবাব দেন।

সূত্র: স্বর্ণা-হাশিম-লিলি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

image_print
Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments