“ভালোবাসা বিলীন হোক”
আমি উন্মাদ,হ্যাঁ,আমি উন্মাদ তোমার প্রেমে
ভালোবাসা চাই।
সে ভালোবাসা চাই না যে ভালোবাসা ডুবিয়ে দেয় বিষাদ সিন্ধুর গভীরে।
বিদ্রোহ করি সে ভালোবাসার, চরণে লুণ্ঠিত হোক, হোক অন্তর গহীনে।
লাঞ্ছিত হোক সে ভালোবাসা সর্বনিকৃষ্ট অপমানে।
যে ভালোবাসায় জীবনের মূল্য হয় তুচ্ছতাচ্ছিল্য,
সেখানে ভালোবাসা থাকে নিচুতার চে নিচুতায়।
নিচুতার এই ভালোবাসা হোক বিলীন,পূজারীর মূর্তির মতো,
হৃদয় সাগরের অতল গহ্বরে।
কবি পরিচিতি-
মো.শফিকুল ইসলাম শফিক ১৩ /১০/১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া থানার সুখারী ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ড দেওশ্রী গ্রামে মধ্যবিত্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা-মো.আলতাবউদ্দিন (পেশায় একজন কৃষক) মাতা-মিনা আক্তার (পেশায় গৃহিণী)
কবি ছিলেন পরিবারের বড় সন্তান এবং তার ছোট একটি ভাই এবং বোন ছিলো।
ভাইয়ের নাম-ইমরান হোসেন, বোন-শাহানাজ আক্তার।
কবি ছোট থেকেই ছিলো খুব শান্ত ও ভাবুক স্বভাবের খুব কম কথা বলতেন তিনি।
মায়ের হাতে তার বর্ণ শেখা, মায়ের কাছেই প্রথম শিক্ষা শুরু।
কবি তার নিজ গ্রামের দেওশ্রী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণী শেষ করেন।
তারপর ধর্মরায় রামধন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে জে এস সি এবং ২০১৩ সালে এস এস সি সার্টিফিকেট অর্জন করেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও খুবই খ্যাতি ছিলো তার সে সাথে ছোট ছোট ছড়া, কবিতা ও বেশ ভালো লিখতেন।
এস এস সি রেজাল্ট হাতে নিয়ে সরকারী হাজ্বী আব্দুল আজিজ খান ডিগ্রী কলেজ (মদন) গিয়ে ভর্তি হোন।
একটি বছর ভালোভাবেই কেটে যায় কিন্তু সেকেন্ড ইয়ারে গিয়েই শুরু হয় টানাটানি, তাই তিনি পাড়ি জমায় সুদূর শহরে কর্মের সন্ধানে।
নারায়ণগঞ্জ শহরে তার সহপাঠী জোসেফ এর কাছে আশ্রয় নেন।
জোসেফের হাত ধরেই শুরু হয় তার কর্মজীবন।
কর্মজীবনের ব্যস্থতায় ফাইনাল পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে ২০১৭ সালে মদন আদর্শ কারিগরি বাণিজ্য কলেজ থেকে এইস এস সি সার্টিফিকেট অর্জন করেন। ১৭ ই জুন ২০২৪ সাল, জেসমিন আক্তারকে তার একাকীত্ব জীবনের সঙ্গিনী করে সংসার জীবনের পথ চলা শুরু করেন।
কবি’র কিছু উল্লেখযোগ্য কবিতা- বঙ্গমদ,জ্বালবে তবু চিতা,নবী’র গুণগান,ভাত দে,আমাদের গ্রাম,মা,বাবা,একই বৃন্থে দুটি ফুল,মৃত্যু নয় প্রস্থান,অভিযোগ,বিদায় বেলা,ছড়া-ছোট্ট খুকি,ঈদের খুশি সর্ব ঘরে।
প্রকাশিত যৌথকাব্য-প্রিয়ো নবী’র ভালোবাসা,দুঃখের আঁধার রাত্রি,কবি উদ্যান,কবি’র কলমে বিশ্ব,মতৃস্নেহ।