আন্তর্জাতিক সংবাদ

বৈশ্বিক সংলাপের ইথিওপিয়ার বিশেষ অধিবেশন আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি চায়না মিডিয়া গ্রুপ তথা সিএমজি’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘বসন্তে চীন: বিশ্বের সাথে চীনের সুযোগ ভাগ করা’ শীর্ষক বৈশ্বিক সংলাপের ইথিওপিয়ার বিশেষ অধিবেশন আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত হয়। সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার বিভাগের উপমন্ত্রী এবং সিএমজি’র পরিচালক শেন হাইসিয়োং এতে একটি ভিডিও ভাষণ দিয়েছেন।

ইথিওপিয়ার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বেরেক ফেসেহাসুন, ইথিওপিয়ায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ছেন হাই, ইথিওপিয়ান পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফেকাডো সেগে এবং ইথিওপিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইনা হেইলিসহ প্রায় ৭০ জন অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তারা আফ্রিকান দেশগুলোর টেকসই উন্নয়নে চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং উন্মুক্ত সহযোগিতা যে ‘নতুন শক্তি’ নিয়ে এসেছে সে সম্পর্কে মতামত বিনিময় করেছেন।

শেন হাইসিয়োং বলেন যে, মার্চ মাসে বেইজিংয়ে বার্ষিক চীনা দুই অধিবেশন নির্ধারিত সময়সূচি অনুসারে বসেছিল, যা বিশ্বকে নতুন যুগে চীনের প্রাণশক্তি সম্পর্কে অবহিত করেছে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রাতিষ্ঠানিক উন্মুক্তকরণকে ধারাবাহিকভাবে সম্প্রসারিত করা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র ক্রমাগত সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। চীনের উন্মুক্তকরণ আরও বিস্তৃত হবে।

চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বা সিজিটিএন পরিচালিত একটি বিশ্বব্যাপী জরিপে দেখা গেছে যে, ৯০ শতাংশেরও বেশি উত্তরদাতা চীনের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত শক্তির প্রশংসা করেছেন এবং আশা করেছেন যে, চীনের ‘বড় বাজার’ বিশ্বে ‘বড় সুযোগ’ নিয়ে আসবে। এটি কেবল বিশ্বব্যাপী দর্শকদের মধ্যে একটি বিস্তৃত ঐকমত্যই নয়, বরং উদ্ভাবনী চীনের একটি স্পষ্ট পাদটীকাও। চীনের আত্মবিশ্বাস বিশ্ব উন্নয়নে আরও বেশি স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চিন্তি প্রদান করেছে।

অনুষ্ঠানে, অতিথিরা চীনের দুই অধিবেশনের সফল আয়োজন, ‘চীন-আফ্রিকা উদ্ভাবন ও উন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষমতায়ন’ এবং ‘চীন-আফ্রিকা সাংস্কৃতিক বিনিময় ও মিডিয়া সহযোগিতা’সহ নানা বিষয় নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা করেন।

অতিথিরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ‘বিশ্বমানের ব্লকবাস্টার’ নির্মাণে চীনের সাফল্য বিশ্লেষণ করার জন্য ‘ন্য চা ২’ চলচ্চিত্রের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার উদাহরণও গ্রহণ করেছিলেন। অতিথিরা একমত হন যে, চীনা সাংস্কৃতিক পণ্যের সফলভাবে বিদেশে প্রবেশ করা কেবল চীনের চমৎকার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অনন্য আকর্ষণকেই প্রতিফলিত করে না, বরং চীনের উচ্চমানের উন্নয়নের উদ্ভাবনী প্রাণশক্তিকেও প্রতিফলিত করে।

সূত্র : লিলি-হাশিম-তুহিনা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

image_print
Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments