আন্তর্জাতিক : নতুন সদস্য ইন্দোনেশিয়া এবং ১০টি অংশীদার দেশ ব্রিকস সহযোগিতা ব্যবস্থায় যোগদানের পর এটিই প্রথম শীর্ষ সম্মেলন। “বৃহৎ ব্রিকস”-এর এই আত্মপ্রকাশ ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের জন্য চায়না মিডিয়া গ্রুপের সিজিটিএন দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে যে, ৯১.২ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন, ব্রিকস সহযোগিতা ব্যবস্থা একটি সমান ও সুশৃঙ্খল বহুমেরু বিশ্ব এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিশ্বব্যাপী ও আঞ্চলিক সংঘাত অব্যাহত রয়েছে এবং শুল্ক আরোপের প্রবণতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্ব অর্থনীতির ধীর পুনরুদ্ধারের মধ্যে ব্রিকস সহযোগিতা ব্যবস্থা কয়েকটি উজ্জ্বল দিকের মধ্যে একটি।
ব্রিকস দেশগুলো নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং কন্টিনজেন্ট রিজার্ভ অ্যারেঞ্জমেন্ট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রায় নিষ্পত্তি এবং একটি স্বাধীন আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। এর মাধ্যমে তারা বিপুল সংখ্যক উন্নয়নশীল দেশের কাছে উন্নয়নের সুযোগ পৌঁছে দিয়েছে। জরিপে, ৯৪.৭% উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন যে, ব্রিকস সহযোগিতা ব্যবস্থা কেবল সদস্য দেশগুলোর মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করেনি, বরং বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থাপনায় তাদের কণ্ঠস্বরও জোরালো করেছে।
৯১.২% উত্তরদাতা মনে করেন, ব্রিকস দেশগুলো বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বাণিজ্য উন্নয়নের জন্য “ত্বরান্বিতকারী” বা ‘অ্যাক্সিলারেটর’ হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও, ব্রিকস দেশগুলো নিম্ন-কার্বন প্রযুক্তি এবং আন্তঃসীমান্ত ই-কমার্সের মতো উদীয়মান ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা প্রচার করছে।
সম্প্রসারণের পর, “বৃহৎ ব্রিকস” বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক, বিশ্বের অর্থনৈতিক উৎপাদনের ৩০ শতাংশেরও বেশি এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ৫০ শতাংশেরও বেশি অবদান রাখছে। ক্রয়ক্ষমতার সমতা (পিপিপি) দ্বারা গণনা করা মোট অর্থনৈতিক উৎপাদন জি-৭ দেশগুলোর চেয়েও বেশি।
“বৃহৎ ব্রিকস” উদীয়মান অর্থনীতি এবং “গ্লোবাল সাউথ”-এর দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে যে, ৮৮.৯% উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন, ব্রিকস সহযোগিতা ব্যবস্থার প্রভাব ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। ৯১.৭% উত্তরদাতা একমত যে, ব্রিকস দেশগুলো উন্মুক্ততা, অন্তর্ভুক্তি, সহযোগিতা এবং উভয়পক্ষের জন্য লাভজনক (উইন-উইন) মনোভাব ধারণ করে, যা বিশ্বব্যাপী শাসন ব্যবস্থাকে আরও গণতান্ত্রিক এবং ন্যায়সঙ্গত দিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
এই জরিপটি সিজিটিএন-এর ইংরেজি, স্প্যানিশ, ফরাসি, আরবি এবং রাশিয়ান প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, মোট ৬,৫৪১ জন বিদেশি নেটিজেন এই জরিপে অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন।
সূত্র: জিনিয়া-তৌহিদ-ফেই,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।