কতো গেলাম প্রেমের আদালতে কোথাও
বিচার পেলাম না
আমার কোনো অভিযোগ ছিলনা।
তোমাকে ভালবাসি এ দাবি নিয়ে আদালতে দাঁড়ালাম
তোমার মিথ্যে ছলনার সাক্ষীতে
বিচারক আমাকে দীর্ঘদিনের সাজা দিল।
হাতে পায়ে লোহার শিকল বেধে বন্দী করে দিল
কয়েদী ঘরে।
প্রিয় তমা আমি হেরে গেলাম তোমার কাছে
আমি হেরে গেলেও দুঃখ নেই আমার দুঃখ নেই।
কয়েদী ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে
তোমার চলার পথে তাকিয়ে রই মনের সুখে
বাতাস এনে দেয় আমার প্রিয়তমার শরীরের সুগন্ধ।
এ বুকের মধ্যে দীর্ঘশ্বাস যেন এক অন্ততহীন শ্রুতির
আমার প্রবিত্র প্রেমের জামিন নামার মঞ্জুরী পাতায়
লিপিবদ্ধ করে।
তোমার প্রেমের আদালতে জামিন মঞ্জুর দাবি করে
আমি আমার প্রেম ভিক্ষা চেয়েছিলাম
তোমার হৃদয় টা কাঁদেনি না মঞ্জুর করে দিলে।
তুমি এ আদালতের বিচারক সেজে
আজীবনের জন্য সাজাপ্রাপ্ত আসামি করে
কারাদণ্ড শাস্তি দিয়ে বন্দী করে দিলে কারাগারে।
শূন্যতার মতন দীর্ঘশ্বাস আমাকে আঁকড়ে ধরে
যতসব কষ্ট দুঃখ গুলো আপন করে নিয়েছে।
কারাগারে বসে আমার দুঃখ দিয়ে তোমার নামে আমি কবিতা লিখি।
তোমাকে ভালবাসি ভালবাসি।
লেখক পরিচিতি-
কবি মানিক মিয়া। একজন প্রবাসি, তিনি তাঁর নিজের লেখা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকেন। কবি সিলেট বিভাগে জন্মগ্রহণ করেন এক আদর্শ মুসলিম পরিবারে।তাঁর লেখা নিয়মিত বুলেটিন নিউজে প্রকাশ হয়ে থাকে। কবি অসংখ্য সাহিত্য সম্মাননা অর্জন করেছেন।