ভীমরতিতে পেয়েছে বেটার
পেতে চায় মস্ত বড় পদ,
যোগ্যতার বালাই নাই
হচ্ছেন আস্ত একটা বদ।
বুদ্ধির ঢেঁকি তিনি
স্থূল বুদ্ধির বাহক ,
ভানুমতির ভেলকি দিয়ে
হতে চান নায়ক।
উপাধি তার মোমের পুতুল
অকর্মার এক ধাঁড়ী,
শেয়ালের লেজ ধরে
বিশ্ব ব্রহ্মান্ড দিতে চান পাড়ি।
আমড়া কাঠের ঢেঁকি দিয়ে
কার্য নাহি হয় সিদ্ধি,
গোবর গণেশ উপাধি তার
আছে হীন বুদ্ধি।
ধরাকে সরা জ্ঞান করে
পেতে চায় শীর্ষে স্থান,
পরের ধনে পোদ্দারীতে
সাঁজতে চায় মহান।
মাথায় খুন চাপা তার
থাকছে বিশাল ক্রোধ,
যত্ত সব মাকাল ফলে
প্রগতির চাকা হয় রোধ।
বজ্র আঁটুনী ফস্কা গেরো
কাজে যাহারা অপটু,
তাদের ভাগ্যে আছে সদা
মন্দ বানী কটু।
যে সব কর্তার ভাবখানা এমন
আঠারো মাসে বছর,
তাদের দরুন সমাজ সংসার
হয়ে যায় ছারখার।
খেজুরে আলাপি কর্মী দিয়ে
হচ্ছে কর্মঘন্টা অপচয় ,
লেফাফা দুরস্তু দিয়ে
জাতি ধ্বংস হয়।
কুবুদ্ধির দাতা শকুনী মামা
বাধায় শুধু গন্ডগোল,
এরা শুধু আপন পাতে
টানতে জানে ঝোল।
শাক দিয়ে মাছ যায়না ঢাকা
হয়ে ফাচ্ছে ফাঁস ,
অপরাধীর দোষ নিজের মুখেই
যাচ্ছে হয়ে প্রকাশ।
এত বিশেষণের সাথে
আছে যাদের যোগ,
অকাল কুষ্মান্ড দিয়ে
জাতির শেষ হচ্ছেনা দুর্ভোগ।
আকাশ কুসুম কল্পনা না করে
কাজের নাও দ্রুত উদ্যোগ ,
বৃথা সময় নষ্ট করলে
হারাবে অনেক সূবর্ণ সুযোগ।
রাষ্ট্রের টাকা হরিলুটে
খাচ্ছে যারা লুটে পুটে
হাঁটে হাঁড়ি ভাঙ্গলে শেষে
কাটবে, কাল দুঃখ কষ্টে।
স্বভাব চরিত্র যদি হয় নিকষ্ট
কামে ক্রোধে হবে ভ্রষ্ট,
অতি লোভে তাঁতী নষ্ট
সৎ বুদ্ধিতে হও আকৃষ্ট।
লাগাম ছাড়া জীবনাচার
যাবে তুমি ছারেখার,
শুরু কর সদাচার
অনায়াসে ভবসিন্ধু হবে পার।
এই সংসারে কলুর বলদ যারা
তারা যাচ্ছে দিবারাত্রি খাটি,
কেতা দুরস্ত যারা
তারা থাকছে শানশওকতে পরিপাটি ।
হরিলুটের বাতাসা,খেতে বড় স্বাদ ,
ভাবছেন কি তারা কখনও,
তাদের জন্য পেতে আছে
মস্ত বড় ফাঁদ?
একটু মেধায় খাটিয়েছি
পদ্যে বাগধারা বাগবিধি ,
কিঞ্চিত খুশি হব তবে
সাহিত্যের পাতায় স্থান পাই যদি।
লেখক পরিচিতি-
কবি রবীন্দ্র কুমার মজুমদার
জন্ম তারিখ:১৬ই মে ১৯৬৩
জন্মস্থান:গ্রাম চর আলগি, ডাকঘর রামদয়াল বাজার, উপজেলা রামগতি, জেলা লক্ষীপুর।
বিজেএমসি এর অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী বর্তমান বাসস্থান ঢাকা ডেমরা।