পরম সত্ত্বা
জরবাদের বিপরীত হচ্ছে আধ্যাত্মবাদ। আধ্যাত্মবাদের মূল কথার সঙ্গে র্ধমীয় অনুভূতির ও বিশ্বাসের খুব নিকটতম যোগ দেখা যায়। চিরাচরিত র্ধম বিশ্বাসের মূল কথা বিশ্বের অসংখ্য বৈচিত্রের পিছনে এক ব্যাপক চেতন সত্ত্বার স্বীকৃতি। এই সর্বব্যাপী চেতন সত্ত্বার নামই র্ধমশাস্ত্রে খোদা, আল্লাহ, ভগমান, ইশ্বর, গড ইত্যাদি নামে পরিচিত। বস্তুজগতে এটা একটা পরম সত্ত্বার মৌলিক বিশ্বাস বা ধারণা। এটা ভাবাদীদের মনের প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ ঘটে। বস্তুজগতের সমস্ত কিছুতেই তাঁর অভিব্যক্তি ঘটে। এই সকল অভিব্যক্তির সমন্বয়ের মধ্যে থেকেই পরম সত্ত্বার সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে পৃথিবীর বহু র্দাশনিক যেমন, প্লেটো, ফিকটে, হেগেল, বাগঁসো, অনেকেই যার যার মতবাদ ব্যক্ত করেছেন । এবং পরম সত্ত্বা যে মানব দেহের মধ্যে জন্ম নিতে পারে সে ব্যাপারে সবাই এক মত । পরম সত্ত্বা বলে একজন সৃষ্টির অস্থিত্বে বিদ্যমান। কারণ, থাকে ছাড়া সৃষ্টির কোন অস্থিত্বেকে ভাবা যায় না । তিনি সকারে ও নিরাকারে দু জগতেই বিরাজমান। যে যেভাবে চিন্তা করে পরম সত্ত্বা ঠিক সেই ভাবেই জাগ্রত হয় তার মনের ভিতর। আর সেই উপলদ্ধি থেকেই পরম সত্ত্বার রূপ দেখা পায়। তখন বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না যে, পরম সত্ত্বাতেই জগত সৃষ্টি। পরম সত্ত্বাতেই জগতের স্থিতি। পরম সত্ত্বাতেই জগতের লয়। দর্শনের ভাষায় পরম সত্ত্বা থেকেই জগতের সৃষ্টি । বৈজ্ঞানিক দর্শনে কিন্ত পরম সত্ত্বাকে বহুতবাদী বলে আখ্যায়িত করেন । তাদের যুক্তি হল বিশ্বের মূল উপাদান এক নয় । কাজেই এখানে একাত্ববাদ র্কাযকর হতে পারে না। এখানে বিশ্ব ও সত্ত্বা দুটো আলাদা বিষয় । বিশ্ব কোন একক র্পদাথ নিয়ে গঠিত নয় । কাজেই সত্ত্বা ও বিশ্ব এক নয় । এ রকম বহু মতবাদ নিয়ে ঘুরে বেড়াছেন বিজ্ঞানীরা । তাদের মতবাদ যে সত্য তাও যেমন বলা যাবে না, আবার যে ফুরাফুরি অসত্য তাও বলা যাবে না। কারণ বর্তমানে বিজ্ঞানীরা যেটাকে সত্য বলে ধারণা করেছেন, পরর্বতী সময় দেখা যায় সেই সত্য আবার অসত্য বলে প্রমাণিত হয় । কারণ হল, তাদের দার্শনিক ভিত্তিক যুক্তির অভাব। তবে দার্শনিকদের মতবাদ যে পরির্ব্তন হয় না সেটা বলা যাবে না। এটা হয় জ্ঞানের উৎর্কষতার জন্য। এবং এটা পরম সত্ত্বার চলমান প্রক্রয়া। পৃথিবীর সকল মনিষীগণ পরম সত্ত্বার অস্থিত্ব নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে দেখা যায়। পরম সত্ত্বা কি এবং এর উৎস কোথায়? এ প্রশ্নের জবাবে আমরা ব্যক্ত করছি যে, এখানে শব্দগত পার্থক্য ছাড়া মৌলিক ধারণা অভিন্ন হিসাবে দেখা যায়। পরম সত্ত্বা হচ্ছে আকৃতিহীন এক শক্তি। র্ধমীয় দৃষ্টিতে তিনি হলেন সৃষ্টিকর্তা। নিরাকার শক্তি বলে ধারণাটা নিরপেক্ষ হবে র্অথাৎ র্ধমীয় প্রভাব মুক্ত থাকবে ।
কিন্ত এই শক্তির উৎস কোথায়? এ প্রশ্নের জবাব আজ র্পযন্ত কেহ দিতে পারেনি। এসব চিন্তা করে অনেকেই পাগলও হয়েছেন বলে আমরা জানি। যেহেতু মনুষের চিন্তা শক্তি সীমিত। এ কারণে অনেক র্ধম গ্রন্থকে বলা হয়েছে যে সৃষ্টিজগত নিয়ে তোমরা বেশী চিন্তা করতে যেয়ো না। র্ধম বিশ্বাসী লোকেরা হয়ত এমন কথায় নিরব হয়ে যাবেন। মনে করবেন এত কিছু নিয়ে চিন্তা করার আমাদের দরকার নেই। কিন্ত দার্শনিক ও বিজ্ঞানীরা এ চিন্তার মোর অন্য দিকে ঘুরাতে চেষ্টা করেন। তাঁরা আজও পরম সত্ত্বার অস্থিত্বে নিয়ে ভাবছেন। প্রায়ই শোনা যায় হায়াত মউত রিযিক ধন এই চারটি আল্লাহ নিজের হাতে ক্ষমতা রেখেছেন। র্ধমীয় দর্শনের ইতিহাস খুজঁলে দেখা যায় এ চারটিও মানুষের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়ছে। তবে এ চারটি ক্ষমতা তাদের হাতে দেয়া হয়েছে, যারা আল্লাহ পাকের সান্নীধ্য লাভ করেছেন। তাদের মধ্যে নবী রাসুল গণও ছিল এ ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকারী। কাজেই এটা আমাদের বিশ্বাস অদূর ভবিষ্যতে পরম সত্ত্বার উৎস সম্পর্কে একটা সন্তোষ জনক উত্তর আমরা পেতে পারি যু্ক্তিতে তাই বলে।
[লেখক,সাধক ও ভজনগুরু : স স আলম শা্ (আলম সাধু)]