আন্তর্জাতিক সংবাদ

থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সি চিন পিংয়ের বৈঠক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ৬ ফেব্রুয়ারি বেইজিংয়ের মহাগণভবনে সফররত থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

সি চিন পিং এ সময় বলেন, চীন-থাইল্যান্ডের বন্ধুত্ব হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে এবং ‘চীন ও থাইল্যান্ড এক পরিবার’ ধারণাটি ক্রমশ স্থায়ী হয়ে উঠছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার অর্ধ শতাব্দীতে দুই দেশ পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা, আন্তরিক বিশ্বাস এবং সহায়তার প্রতি আস্থা রেখেছে এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষায় সর্বদা একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে। এ বছর চীন ও থাইল্যান্ডের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী এবং ‘চীন-থাইল্যান্ড বন্ধুত্বের সোনালী ৫০ বছর’। উভয়পক্ষের অতীতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ যাতে চীন-থাইল্যান্ড অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটির নির্মাণ কাজ আরো গভীর ও বাস্তবসম্মত দিকে এগিয়ে যাবে এবং দুই দেশের জনগণ আরও ভালো উপকার পাবে, একইসঙ্গে অঞ্চল ও বিশ্ব আরও বেশি উপকৃত হবে।

সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন যে, এক শতাব্দীতে অদেখা বড় পরিবর্তনের মুখে, চীন ও থাইল্যান্ডের উচিত কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা সুসংহত করা, একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করা এবং বহিরাগত পরিবেশের অনিশ্চয়তা মোকাবেলায় চীন-থাইল্যান্ড সম্পর্কের স্থিতিশীলতা ও নিশ্চয়তা ব্যবহার করা। চীন থাইল্যান্ডের সাথে উন্নয়ন কৌশলগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে, পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে, চীন-থাইল্যান্ড রেলওয়েসহ ফ্লাগশিপের মতো প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন করতে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আরও ফলাফল অর্জনের জন্য চীন-লাওস-থাইল্যান্ড সংযোগ উন্নয়ন ধারণাকে উন্নীত করতে ইচ্ছুক।

তাছাড়া, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং নতুন জ্বালানি যানবাহনসহ উদীয়মান ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা আরও গভীর করা এবং আরও স্থিতিশীল ও মসৃণ শিল্প চেইন ও সরবরাহ চেইন তৈরি করার জন্য একসাথে কাজ করা উচিৎ। অনলাইন জুয়া এবং জালিয়াতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থাইল্যান্ডের শক্তিশালী পদক্ষেপের প্রশংসা করে চীন। উভয়পক্ষের আইন প্রয়োগের নিরাপত্তা এবং বিচারিক সহযোগিতা জোরদার করা, জনগণের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর বিনিময় ও সহযোগিতার শৃঙ্খলা বজায় রাখা উচিত। আমাদের পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বন্ধুত্বকে আরও গভীর করা, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে যৌথভাবে সমৃদ্ধ ও বর্ণিল উদযাপন করা, জনগণের হৃদয়কে উষ্ণ করে তোলা ও জনগণের জীবিকার উন্নয়নে আরও প্রকল্প তৈরি করা উচিত, যাতে চীন-থাইল্যান্ড বন্ধুত্বকে জনগণের হৃদয়ে গভীরভাবে প্রোথিত করা যায় এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তা প্রবাহিত হয়।

পেতংতার্ন বলেন যে, ‘থাই-চীন বন্ধুত্বের ৫০তম বার্ষিকী’ তথা সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চীন সফর করতে পেরে তিনি খুবই আনন্দিত। গত ৫০ বছরে, থাই-চীন সম্পর্ক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে এবং দুই দেশ সর্বদা একে অপরকে সাহায্য করেছে এবং একসাথে বিকশিত হয়েছে। থাইল্যান্ড দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি মেনে চলে এবং উচ্চ-স্তরের বিনিময় জোরদার করতে, সংযোগ, অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং কৃষিসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং মানুষে মানুষে বন্ধন উন্নীত করতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কল্যাণের জন্য আগামী ৫০ বছরের শান্তি ও সমৃদ্ধির সূচনা করতে চীনের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।

সূত্র: লিলি-হাশিম-তুহিনা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

image_print
Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments