” জেগে ওঠো নারী “
নারীদেরকে কত আর হতে হবে ধর্ষনের শিকার ?
আর কত নারী প্রাণ হারালে হবে ধর্ষকের বিচার ?
কতটা মায়ের বুক খালি হলে আর ধর্ষকেরা পাবে শাস্তি?
চারিদিকে নারীদের এত হাহাকার তবু ধর্ষকের বুকে কত শান্তি ?
জেগে ওঠো নারী, জেগে ওঠো নারী
সইবে কত আর অত্যাচার ?
সকল ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করে পেতে হবে বেঁচে থাকার অধিকার ।
কত আর দেখবো বাবার চোখে মেয়ে হারানোর কান্না ?
আর কতটা ভাইকে দেখতে হবে প্রিয় বোনের রক্তের বন্যা ?
জেগে ওঠো নারী, জেগে ওঠো নারী
এবার করতে হবে যুদ্ধ !
নিজেকে বাঁচাতে করতে হবে ধর্ষকের পথ রুদ্ধ ।
আমি ঘুমের ঘরে কেঁদে উঠি মনে পড়লে ধর্ষিতা শিশুর চিৎকার !
আমি নারী হয়ে জন্মেছি বলে আজ জীবনকে করি ধিক্কার ?
জেগে ওঠো নারী, জেগে ওঠো নারী
সমাজের চোখে আর কত হবে বিবস্ত্র ?
ভয় নেই লড়তেই হবে এবার হাতে ধরো অস্ত্র !
নারী জননী, নারী স্নেহময়ী তবে কেন নারী এত লাঞ্চিত আজ ?
কেন নারীর নিরাপত্তা দিতে পারে না এই দেশ এই সমাজ ?
জেগে ওঠো নারী, জেগে ওঠো নারী
এবার মুছে নাও চোখের জল
তুমি দূর্গা, তুমিই মহাকালী তুমি নও এত দূর্বল ।
এসো আজ সকল নারী এক হয়ে ধর্ষকদলকে নিশ্চিহ্ন করি।
নিজের নিরাপত্তা ছিনিয়ে নিতে ধর্ষকের বিরুদ্ধে লড়ি ।
জেগে ওঠো নারী, জেগে ওঠো নারী
এবার ঘোরাতেই হবে ক্লেশ !
ধর্ষকদের নিঃশেষ করে গড়তে হবে ধর্ষন মুক্ত দেশ।
কবি পরিচিতি-
কবি সংগীতা বোনার্জী মৌলভিববাজার জেলা শ্রীমঙ্গল থানার বিদ্যাবিলে জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর পিতার নাম শ্যামল বোনার্জী ও মাতার নাম রাসমনি বোনার্জী তিনও বর্তমান সময়ের উদীয়মান এক কবি। লেখালেখি প্রতি গভীর ভালোবাসার কারনে তিনি সাহিত্যচর্চার মনোনিবেশ করেন।
কবি সাহিত্যের মাধ্যমে মানবমনের ভাবগুলোকে সুনিপুণভাবে প্রকাশ করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি কার্ব্য চর্চায় নিজেকে সদ্য নিয়োজিত রাখছেন।