আন্তর্জাতিক : চীনের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ১০ জুন ভিডিও লিংকের মাধ্যমে জাতিসংঘের ‘সভ্যতার সংলাপ বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস’ শীর্ষক প্রথম বৈশ্বিক থিমযুক্ত ইভেন্টে ভাষণ দিয়েছেন।
ভাষণে ওয়াং ই বলেন, বিশ্বে এই শতাব্দীতে অদেখা পরিবর্তনের বিশাল প্রভাবের মুখে, সভ্যতার মূল্য অভূতপূর্বভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সভ্যতার মিথস্ক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সভ্যতার সংলাপ সময়োপযোগী। সভ্যতার সংলাপ হলো শান্তির বন্ধন, উন্নয়নের চালিকা শক্তি এবং বন্ধুত্বের সেতু। জাতিসংঘের ‘সভ্যতার সংলাপ বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস’ প্রতিষ্ঠা সকল দেশের মানুষের সভ্যতার মধ্যে সংলাপ প্রচার ও মানব অগ্রগতিকে বেগবান করার সর্বজনীন আকাঙ্ক্ষার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং তা সকল সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন পেয়েছে।
ওয়াং ই বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বিশ্বব্যাপী সভ্যতা উদ্যোগের প্রস্তাব করেছেন, যা সমগ্র মানবজাতির সাধারণ মূল্যবোধের প্রচার, সভ্যতার উত্তরাধিকার ও উদ্ভাবনের প্রতি গুরুত্ব প্রদান এবং মানবিক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করার পক্ষে। সভ্যতার সংলাপ প্রচারের জন্য এটি চীনের গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা। চীন তিনটি দিক থেকে সভ্যতার সংলাপ প্রচারের প্রস্তাব করে।
প্রথমত, সভ্যতার সমতার রক্ষক হওয়া। সকল দেশের জনগণের স্বাধীনভাবে নির্ধারিত উন্নয়নের পথ এবং সামাজিক ব্যবস্থাকে সম্মান করা, সভ্যতার দ্বন্দ্ব প্রত্যাখ্যান করা, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করা, একতরফা বলপ্রয়োগ প্রতিরোধ করা এবং সমান মর্যাদা পাওয়া উচিৎ।
দ্বিতীয়ত, সভ্যতার বিনিময়ের অনুশীলনকারী হওয়া। সভ্যতার সংলাপের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমস্যা সমাধানের জ্ঞান অর্জন করা এবং বিশ্ব আধুনিকীকরণের পথ প্রশস্ত করা সম্ভব।
তৃতীয়ত, সভ্যতার অগ্রগতির প্রবর্তক হওয়া। ধারণা, প্রযুক্তি এবং কর্মীদের প্রবাহকে উৎসাহিত করা উচিত। সভ্যতার উত্তরাধিকার ও উদ্ভাবনে সহায়তা করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ উদীয়মান প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করা এবং সাধারণ বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক সম্পদকে ক্রমাগত সমৃদ্ধ করা উচিত।
২০২৪ সালে, ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে চীনসহ ৮৩টি দেশের উত্থাপিত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, প্রস্তাবটির নিরিখে প্রতি বছর ১০ জুনকে ‘সভ্যতার সংলাপ বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
সূত্র: লিলি-হাশিম-তুহিনা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।