“চটুস”
ইরানি থেকে বিরানী কিনলাম
আজ খাব নিজে নিজে,
হঠাৎ দেখি এক পথ শিশু
তার চোখের জলে ভিজে।
গাঁয়ে তাহার ছেঁড়া গেঞ্জি
ময়লা হাতে পায়ে,
মাথার চুলে জটলা দেখি
নাইকো তাহার মায়ে।
বললাম তুমি খাবে কিছু
মাথা নারে ছেলে,
দুটি টাকা দেন গো স্যার
যাব আমি চলে।
কোথায় থাকো, কোথায় যাবে
বলবে সে সব কথা?
শুনলে কী!দেবেন আমায়
বুঝবে কি মোর ব্যথা?
কি চাও তুমি, বল দেখি
তোমার মনের কথা,
ভাল ভাবে বাঁচতে চাই
এটাই আমার কথা।
বাবা মা ভাই বোন
সব দিয়েছে ফাঁকি,
যে যা দেয় তাই নিয়ে
আমি কমলাপুরে থাকি।
আমার মত অনেক বাবু
স্কুলে যায় দেখি,
পড়তে আমার ইচ্ছে করে
খুব তাকিয়ে থাকি।
এসো তুমি কাছে এসো
কি নাম তোমার বল?
খাবার গুলো খেয়ে নাও
থেকো তুমি ভাল।
চটুস বলে ডাকে সবাই
আমার মত যারা,
কে দিয়েছে নামটি এমন
কেউ জানি না মোরা।
কবি পরিচিতি-
কবি হারেজ উদ্দিন হিরো, পাবনা জেলার ভাংগুরা উপজেলা অধীনের পরমানন্দ পুর গ্রামে ১৯ শে ডিসেম্বর ১৯৯২ ইং সালে জন্ম গ্রহণ করেন।
পিতাঃ মৃত আকবর আলী খান
মাতাঃ মৃত হালিমা খাতুন।
তিনি চার ভাই বোনের মধ্যে ছোট।
তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিজ্ঞান বিষয়ে বি.এস.সি (অনার্স),এম.এস.সি (মাস্টার্স-থিসিস)ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি দেশের বিভিন্ন সাহিত্য পাতায় লেখা-লেখি করেন।
এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ১৫ টি (যৌথ),গল্পের বই একটি (যৌথ) এবং একটি উপন্যাস “ভালোবাসার অন্তরায়”।
প্রতিভার স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন
“অপরাজিত সাহিত্য সম্মাননা-১৩”
“প্রজন্ম সাহিত্য সম্মাননা-১৫”
“আমার সাহিত্য সম্মাননা-১৭”
“শখের কবিতা ও সাহিত্য আড্ডা সম্মাননা-১৭”
“প্রিয় কবিতা সাহিত্য গ্রুপ সম্মাননা-১৭”
কবি বর্তমান
“আসিয়া বারি আদর্শ বিদ্যালয়” মঠখোলা,পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ,
সহকারী শিক্ষক (বায়োলজি) হিসাবে কর্মরত আছেন।