আইন ও পরামর্শএক্সক্লুসিভ

 কুমুদিনী হাজং-এর মৃত্যু, আইন ও সালিশ কেন্দ্র-এর শোক ও শ্রদ্ধা

মো. মনজুরুল ইসলাম (মনজু) : ব্রিটিশ শাসনামলে ঐতিহাসিক টংক আন্দোলন ও হাজং বিদ্রোহের নেতা কুমুদিনী হাজং-এর মৃত্যুতে আইন ও সালিশ কেন্দ্র গভীর শোক প্রকাশ করে।

ফসল হোক বা না হোক, নির্দিষ্ট পরিমাণ ধান খাজনা হিসেবে জমিদারকে দিতে হবে। ১৯৩৭ সালে শোষিত কৃষকেরা এ অন্যায্য প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন, যা টংক আন্দোলন নামে পরিচিত। কুমুদিনী হাজং ছিলেন ঐতিহাসিক এ আন্দোলনের একজন কিংবদন্তী নেত্রী এবং এর শেষ সাক্ষী। নিপীড়িতের পক্ষে লড়াইয়ে-এর জন্য তাঁর এই বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আইন ও সালিশ কেন্দ্র গভীর শোক প্রকাশ করে।

২৩ মার্চ ২০২৪। তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কুমুদিনী হাজং তৎকালীন ময়মনসিংহের দূর্গাপুরের বহেরাতলী গ্রামে কৃষিজীবী হাজং পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সমাজসেবায় অবদানের জন্য ২০১৯ সালে কুমুদিনী হাজংকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি। এ ছাড়া তাঁকে অনন্যা শীর্ষদশ (২০০৩), আহমদ শরীফ স্মারক (২০০৫), কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি পদক (২০০৭), সিধু-কানহু-ফুলমণি পদক (২০১০), জলসিঁড়ি (২০১৪) ও হাজং জাতীয় পুরস্কার (২০১৮) প্রদান করা হয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তাঁর ত্যাগ ও সংগ্রামী চেতনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছে, এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার ও অগুণিত শুভানুধ্যায়ীর প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে। তাঁর ত্যাগ ও সংগ্রামী চেতনার জন্য  তিনি চিরকাল অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে মানুষের হৃদয়ে।

image_print
Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments