কাশিয়ানীতে শাহীনের খামারে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত ১০টি গরু
শেখ মোঃ ইমরান, কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে পবিত্র ঈদুল আযহা-২০২৪ অর্থাৎ কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য মোঃ শাহীন মোল্লার খামারে প্রস্তুত করা হয়েছে উন্নত জাতের ১০টি গরু। এসব গরুর দাম সর্বনিম্ন ৭০ হাজার থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত রয়েছে।
শাহীন মোল্লা জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের স্কুল-মাজড়া পূর্বপাড়ার মোঃ আজিজুর রহমানের ছেলে। তিনি পেশায় ছাত্র হলেও ‘শাহীন এগ্রো এন্ড ডেইরি ফার্ম’ নামে তার একটি গরুর খামার রয়েছে। সেই খামারে তার গরু রয়েছে ৪৫টি।
জানা গেছে, ছোট বেলা থেকেই গরু-ছাগল পালন শখ ছিল মোঃ শাহীন মোল্লার। ছাত্র হয়েও পাশাপাশি পৈত্রিক সূত্রেই দীর্ঘদিন ধরেই শাহীন এগ্রো এন্ড ডেইরি ফার্মের সাথে যুক্ত আছেন। ২০২০ সালে শাহীন মোল্লার বাবা মোঃ আজিজুর রহমান গড়ে তুলেছেন শাহীন এগ্রো এন্ড ডেইরি ফার্মটি। ৪টি গরু দিয়ে শুরু করলে বছর পাঁচেকের ব্যবধানে এখন তাঁর খামারে গরুর সংখ্যা ৪৫টি। আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১০টি। এসব গরু পাওয়া যাবে ৭০ হাজার থেকে ৭লাখ টাকায়।
খামারে গিয়ে দেখা যায়, খামারে সারি সারি ভাবে দাঁড়িয়ে আছে গরু। গরুগুলো মোটা, তরতাজা ও বিভিন্ন রঙের। এসব গরু ঈদের বাজারে বিক্রি করা হবে। তবে ক্রেতাদের সুবিধার্থে সরাসরি খামারে এসে গরু কেনার পাশাপাশি অনলাইনেও কেনার সুযোগ রাখার কথা জানান মালিক।
খামারের মালিক শাহীন মোল্লা বলেন, নিজেকে স্বাবলম্বী করতে খামার করেছি। আমার খামারে বর্তমানে ৫৫টি গরু আছে, কোরবানির জন্য ১০টি গরু প্রস্তুত রয়েছে। এসব গরু ৭০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ দাম ৭ লাখ টাকা হবে। অনলাইনে কেউ যদি আমার খামারের গরু কিনতে চান, তাহলে আমি গরু পৌঁছে দিবো। কোরবানি ঈদে গরু বিক্রি করে আবার নতুন করে সংগ্রহ করবো।
তিনি বলেন, অনেকেই গরু মোটা করতে ইনজেকশন ব্যবহার করেন। আমাদের খামারে সম্পূর্ণ ইনজেকশন মুক্ত এবং প্রাকৃতিক খাবারেই বড় হচ্ছে এসব গরু।
কাশিয়ানী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পৃথ্বীজ কুমার দাস বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন খামারে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের গরু লালন-পালন করা হয়। আমরা সার্বক্ষণিক খামারিদের সুপরামর্শসহ সেবা দিয়ে আসছি।