কভারেজ নিউজমফস্বল সংবাদ

আত্রাইয়ে ন্যায্যমূল্যের দোকান, কম দামে নিত্য পণ্য পেয়ে খুশি ক্রেতারা

কামাল উদ্দিন টগর : নওগাঁর আত্রাইয়ে চালু করা হয়েছে ন্যায্যমূল্যের দোকান। জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ নিউ মার্কেটে ন্যায্য মূল্যের এই দোকান চালু করা হয়েছে।ন্যায্য মূল্যোর দোকান (২ডিসেম্বর) সোমবার সকালে উদ্বোধন করেন উপজেলা নিবাহী অফিসার মোঃ কামাল হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি সিনথিয়া হোসেন। ইউনাইটেড প্রেস ক্লাব, আত্রাই নওগাঁ সভাপতি একেএম কামাল উদ্দিন টগর, আত্রাই থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ তসলিম উদ্দিন, থানা যুব দলের আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম রিপন,উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ আবু আনাছ, উপজেলা কৃষি অফিসার প্রসেনজিৎতালুকদার,আত্রাই উপজেলা ছাত্র সমাজের ছাত্র নেতা তারেক আহম্মেদ সম্রাট, আত্রাই সাহেবগঞ্জ মালিক ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোশেধ আলম পল্টু।
উদ্বোধনের পর বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বাজার মূল্যোর চেয়ে তুলনা মূলক কম দানে নিত্যপণ্য কিনতে পেয়ে খুশি ক্রেতারা। পণ্যকিনতে আসা উপজেলার সাহেবগঞ্ এলাকার বীর মুক্তি যোদ্ধানীরেন্দ্র নাথ দাসবলেন, প্রতিদিনই বাজারে কোনো নোটিশ ছাড়াই কোন না কোন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে।কিন্তু আমাদের আয় বাড়ছে না। এত করে আমরা স্বল্প আয়ের মানুষরা জীবণ-যাপন করতে হিমশিম খাচ্ছি।বাজারের তালিকা আর ছোট করা যাচ্ছে না এমন পরিস্থিতিতে বাজারে ন্যায্য মূল্যের দোকান আমাদের কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে।
আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামাল হোসেন বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষদের কথা চিন্তা করে জেলা প্রশাসন প্রশাসকের সাবিক নিদেশনায় ন্যায্যমূল্যোর দোকান চালু করা হয়েছে। মাঠে উৎপাদিত কৃষকদের ফসল বিশেষ করে কাঁচা সবজি হাত বদল হলেই দাম বেড়ে যায়। যার কারণে কৃষকরা যেমন তাদের উৎপাদিত পণ্যের নায্য মূল্য পাওয়া তেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তেমনি ভাবে সাধারণ ক্রেতাদের দ্বিগুণ মূল্য দিয়ে ধোলাবাজারথেকেসেইপণ্যগুলো কিনতে হচ্ছে। ফলে উভয় পক্ষই প্রতরণার শিকার হচ্ছেন আর তৃতীয় পক্ষ লাভবান হচ্ছেন। আর বাজারে এসে প্রয়োজনীয় সবজিকিনতে হিমশিস খেতে হচ্ছেভোক্তাদের। এমন সমস্যা থেকে উত্তোলনের লক্ষেই সরাসরি কৃষকদেরকাছ থেকে পণ্য কিনে ন্যায্যমূল্যের এই দোকান। এত করেকৃষক তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্যে যেমন পাচ্ছেন তেমনিভাবে স্বল্প আয়ের মানুষরাও কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতিটিহাটে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদেরজন্য টোল ফ্রি সবজি বিক্রির কর্ণার চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আমি আশা বাদী এ ধরনের কাজের ধারাবাহিকতা বজায়রাখতে পারলে উপজেলার কৃষক ও ভোক্তারা উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি লাভবান হবেন। ভোক্তারা খোলা বাজারের চেয়ে ন্যায্য মূল্যের দোকানে ৫-১০ টাকা কম দামেপণ্য পাচ্ছেন। দোকানে আপাতত তিনটি পণ্য আলূ ৬৫ টাকা ও পেঁয়াজ ১০৫ টাকা কেজি এবং ডিম ৪৫ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। এই দোকান থেকে একজন ক্রেতা ২ হালি ডিম এবং ২ কেজি করে আলু ও পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই দোকান চালু থাকবে।

image_print
Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments